পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যারিয়ার নিয়ে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠান হলো এক্সিলেন্স বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দক্ষতার সঙ্গে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। নিজেদের কাজের দক্ষতায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভরসার নাম হয়ে উঠেছে এক্সিলেন্স বাংলাদেশ। এক্সিলেন্স বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত আছেন এমন কিছু শিক্ষার্থী এক্সিলেন্স বাংলাদেশ সম্পর্কে কি ভাবে বা এক্সিলেন্স বাংলাদেশ তাদের কাছে কি প্রশ্ন করলে উঠে আসে নানা তথ্য। এক্সিলেন্স বাংলাদেশ সম্পর্কে দেওয়া শিক্ষার্থীদের বক্তব্যগুলো নিচে দেওয়া হলো-
উম্মে মরিয়ম মিম
ক্যাম্পাস টিম মেম্বার,বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনাল (বিউপি) শাখা এক্সিলেন্স বাংলাদেশ
এক্সিলেন্স বাংলাদেশ হল একটি দক্ষতা উন্নয়ন প্ল্যাটফর্ম যা শিক্ষার্থীদের তাদের দক্ষতা বিকাশ করতে এবং ক্যারিয়ার সম্পর্কে পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করে। এক্সিলেন্স বাংলাদেশ ভবিষ্যৎ স্বপ্নের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে তরুণ নেতৃত্ব আনতে অনেক সংস্থার সাথে সহযোগিতায় কাজ করছে। সম্প্রতি এক্সিলেন্স বাংলাদেশ এর প্রতিনিধিত্ব করে ইউল্যাব ডিজিটাল মার্কেটিং ক্লাবের সাথে সহযোগিতায় যেটি “এবিসি ব্র্যান্ড অফ মার্কেটিং” মার্কেটিং সামিট আয়োজন করেছিল, যেখানে কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা এক্সিলেন্স বাংলাদেশকে একটি আদর্শ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের JKKNIU জব ফেয়ারে, এক্সিলেন্স বাংলাদেশ যোগ দিয়েছে এবং একটি চমৎকার এবং কার্যকর পরিবেশ অনুভব করেছে যেখানে ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীরাও এক্সিলেন্স বাংলাদেশের মাধ্যমে তাদের কর্মজীবন শুরু করতে আগ্রহী।’ এক্সিলেন্স বাংলাদেশ যে ইভেন্ট এবং সহযোগিতাই করুক না কেন, সবগুলোর মূল উদ্দেশ্যে সকল তরুণদের জন্য নেটওয়ার্ক এবং ক্যারিয়ার সম্পর্কিত পরামর্শ দেওয়া যা তথ্যপূর্ণ।’
মোঃ আরেফিন আহমেদ
ক্যাম্পাস টিম সেক্রেটারি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এক্সিলেন্স বাংলাদেশ
‘The youth will make the change’ এই শিরোনামে এক্সিলেন্স বাংলাদেশের পথচলা, এদেশের তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ মানবশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার এক স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছে এক্সিলেন্স বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী চাকরির বাজারের সাথে লেখাপড়ার সাদৃশ্যতা অনেকটাই কম। সরকারী চাকরির প্রতিযোগিতার বাইরে যেসকল শিক্ষার্থী নিজেদের স্কিল ডেভেলপ করার মাধ্যমে কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখছে কিংবা নিজ উদ্যোগে কিছু করার স্বপ্ন দেখে তাদের জন্য এক্সিলেন্স বাংলাদেশ আমার দেখা সবথেকে সেরা প্রতিষ্ঠান। এখানে আমরা নিয়মিত নিজেদের বিভিন্ন স্কিল ডেভলপ করা সহ সুযোগ পাচ্ছি সরাসরি দেশের সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানসমূহের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইভেন্ট, ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামসহ বিভিন্ন সুযোগ দিচ্ছে এক্সিলেন্স বাংলাদেশ। এক কথায় বলতে গেলে একজন তরুণ শিক্ষার্থীর কর্পোরেট জার্নি শুরু করার সকল ধরণের পূর্বপ্রস্তুতি পেয়েছি এক্সিলেন্স বাংলাদেশ থেকে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি এক্সিলেন্স বাংলাদেশের মতো ডাইনামিক টিমের সাথে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।’
মারিয়া খানম মাইশা
ক্যাম্পাস টিম মেম্বার, বাংলাদেশ হোম ইকনমিক্স কলেজে শাখা এক্সিলেন্স বাংলাদেশ
এক্সিলেন্স বাংলাদেশ হচ্ছে স্বপ্নবাজ দের স্বপ্ন পূরণের জায়গা। আমরা স্টুডেন্ট অবস্থায় থাকাকালীন অনেকেই হয়তো বা কল্পনাও করতে পারিনা যেকোনো কোম্পানির সিইও, এমডি, কান্ট্রি ম্যানেজার পদধারী ব্যক্তিদের সাথে দেখা করার সুযোগ হতে পারে। কিন্তু এক্সিলেন্স বাংলাদেশ এই সুযোগটা করে দিচ্ছে শুধুমাত্র তাদের বিভিন্ন জব ফেয়ার এর মাধ্যমে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। মূলত স্টুডেন্ট ও কর্পোরেট পার্সনদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে এই টিমটি।বিগত কিছু অনুষ্ঠান এক্সিলেন্স বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমি অ্যাটেন্ড করি যার মধ্যে ছিল – বিইউএফটি জব ফেয়ার, ইউল্যাব এর এবিসি অফ ব্র্যান্ড মার্কেটিং, এনইউএসডিএফ ২০২৩ সহ নানা প্রোগ্রামে। এত আয়োজন এর মুখ্য বিষয় শুধু একটাই শিক্ষার্থীরা যেন দিন শেষ এ বেকার না থাকে। যার যার যোগ্যতা অনুসারে সে যেন তার নিজের স্বপ্নের চাকরিতে পৌঁছাতে পারে সেজন্যই আমাদের এই চেষ্টা। এত বড় বড় সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সত্যিই অনেক ধন্যবাদ এই টিমকে। আমি আসলেই গর্বিত এই টিমের সাথে যুক্ত হতে পেরে এবং বিভিন্ন কর্পোরেট পার্সনদের সাথে কমিউনিকেশন করতে পেরে। এক্সিলেন্স বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্কিল বিল্ডআপ, নিজস্ব স্কিল ডেভেলপমেন্ট, সিভি আপডেট সহ আরও অনেক কিছুই নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তারাই তৈরি করছে এ দেশের স্বপ্নবাজ তরুণ দলকে যাদের লক্ষ্য নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করা ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
মোঃ রোকন
ক্যাম্পাস এম্ব্যাসেডর, ইউওডা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এক্সিলেন্স বাংলাদেশ
সকল তরুনদের শক্তি, বিশ্বাস, অনুপ্রেরণা ও ভালোবাসার জায়গার নাম এখন এক্সিলেন্স বাংলাদেশ। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এমন একটা চমৎকার সংগঠন এর সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছি। একদিন আকাশ ছুঁতে চাই, পৌঁছাতে চাই সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে। এই এক্সিলেন্স বাংলাদেশ দিনের পর দিন আমার স্বপ্ন পুরণে সহযোগিতা করে যাচ্ছে, কাজগুলো সহজ করে দিচ্ছে।
মাত্র কয়েকমাসে এই সংগঠন থেকে অনেক কিছু পেয়েছি এবং শিখেছি। লিডারশীপ, ম্যানেজমেন্ট স্কিল, কমিউনিকেশন স্কিল, সিভি রাইটিং, ক্যারিয়ার গাইডলাইন সহ দারুণ সব বড় বড় জব ফেয়ার পেয়েছি চমৎকার কিছু শিখেছি। তাই এই এক্সিলেন্স বাংলাদেশ আমার কাছে এবং সব তরুণদের কাছে এখন একটা প্রাণকেন্দ্র ও ভালোবাসার জায়গা।’
প্রতিতি ব্যানার্জি
ক্যাম্পাস টিম সেক্রেটারি , সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এক্সিলেন্স বাংলাদেশ
এক্সিলেন্স বাংলাদেশের সাথে এ পর্যন্ত আমার বেশ কয়েকটি প্রোগ্রামে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। যদি অভিজ্ঞতার কথা বলি এক কথায় অসাধারণ। আমার নিজের ক্লাবে যখনই কোন প্রোগ্রাম করতে যাই সব সময়ই সহযোগিতায় এগিয়ে আসে এক্সিলেন্স বাংলাদেশ। এছাড়াও আইইউবিএটি এর জব ফেয়ার এবং এনইউ স্কিল ডেভেলপমেন্ট সামিটে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং মেম্বারদের বন্ধুত্বসুলভ ব্যবহার আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছে। এক্সিলেন্স বাংলাদেশের হাত ধরেই রাইস এবোভ অল ২০২৩- এর মতো একটি চমৎকার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছি। প্রফেশনালিজম এবং কানেক্টিভিটির পাশাপাশি বিভিন্ন মানুষের সাথে মিশে, তাদের সাথে কথা বলে ইন্সপায়ার্ড হওয়ার ব্যাপারটা খুব ভালো লাগছে।’