গত ১ জুন রোজ বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল তাঁর বাজেট বক্তৃতায় দেশে একটি ডিজিটাল ব্যাংক খোলার ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও অনেক আগে থেকেই মোবাইল ব্যাংকিং ও নেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে লেনদেনের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছিলো তবে সেগুলো শুধুমাত্রই দেশের প্রচলিত ব্যাংকিং সেবার ডিজিটালাইজেশনের অংশমাত্র।
ডিজিটাল ব্যাংক সাধারণত এর সকল পরিষেবা অনলাইনে সরবরাহ করে, এমনকি সকল ধরণের পেপারওয়ার্কও। এই ডিজিটাল ব্যাংকগুলো প্রচলিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মতোই বাংলাদেশ ব্যাংক কোম্পানি এক্ট, ১৯৯১এর আওতাধীন নিজস্ব লাইসেন্সধারী পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন ব্যাংক হবে যার সকল কার্যক্রম চলবে অনলাইনে। সুতরাং, একটি ডিজিটাল ব্যাংকের মাধ্যমে অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মতো সকল ধরনের পরিষেবা পাওয়া যাবে ঘরে বসেই।
বর্তমানে, দেশে ৬১টি ব্যাংক কার্যক্রম চালাচ্ছে। এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই এখন ব্যবসায়িক মন্দার সম্মুখীন। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আয়তনের তুলনায় ব্যাংকের সংখ্যা অনেক বেশি। এ কারণে ব্যাংকগুলো মুনাফায় থাকতে হিমশিম খাচ্ছে।
ডিজিটাল ব্যাংক চালু করতে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকের রূপরেখা প্রণয়ণের কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী অর্থবছরে একটি ডিজিটাল ব্যাংক চালু হবে। এখন দেখার বিষয় হলো, আদতে কতটুকু গ্রাহকবান্ধব সেবা দিতে পারে ব্যাংকটি।
তথ্যসূত্রঃ পিআইডি
আরও পড়ুন
ছোটগল্পঃ মীরসাবের গাছের আম