একজন মানুষের জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি মুহূর্তে শিক্ষা নিতে হয়। তা যে শুধু একাডেমিক শিক্ষা তা নয়। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি কিছু অনুপ্রেরণা দেওয়া মানুষ থাকেন যারা বাস্তবিক জীবনে কিভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় সেই শিক্ষাটা দেন। এমনই একজন মানুষ হলেন বেনজির আবরার। যিনি নিজের গুণে ও কাজেই পরিচিত। বিশ্ব শিক্ষক দিবসে গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এক্সিলেন্স বাংলাদেশের অনেকে…
অনেক তো স্কুল, কলেজ, ভার্সিটির শিক্ষক নিয়ে কথা বলা হয়। এবারের এ শিক্ষক দিবসে এমন কিছু শিক্ষকের কথা বলবো, যারা একাডেমীক নয় বরং বাস্তবিক দুনিয়ার শিক্ষা দিয়েছেন আমাকে অথবা দিচ্ছেন, পরবর্তীতেও দিয়ে যাবেন এই বিশ্বাস করি। শুনছিলাম সেলিম ইসলামের কথা। তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় ব্যাক্তি— বেনজির আবরার ভাইয়ের কথা। আমাদের এক্সিলেন্স বাংলাদেশের হেড অফ মার্কেটিং— নাহিদ ভাইয়া বলেন, ‘এই দেশে আরও পাঁচ-দশজন বেনজির ভাই থাকলে, তারুণ্য কখনই হতাশার সাক্ষী হতো না।’ বেনজির ভাই যখন নেতৃত্ব দেন, শত প্রতিবন্ধকতা থাকলেও, এই মানুষটি আশার আলো দেখায়। সাহস দেয় সামনে এগোনোর, সফলতার পথে হাঁটে তরুণরা।বেনজির আবরার এর মতো অনুপ্রেরণা দেওয়া শিক্ষকরা স্বপ্ন দেখতে শেখায়, পূরণ করতে শেখায়, উদাহরণ তৈরি করতে শেখায় এবং পিছনে থেকে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি দেয় দিয়ে যায়। শিক্ষক দিবসে অনুপ্রেরণা দেওয়া সকল গুরুদের প্রতি রইলো অনেক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং শুভকামনা।’
যার কাছে কিছু শিখি তাকেই শিক্ষকের মর্যাদা দেওয়া নৈতিক শিক্ষার দায়িত্ব। আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবসে মোঃ রোকন স্মরণ ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছিল তরুণ প্রজন্মের আইডল বেনজির আবরার কে। তিনি বলেন, ‘বেনজির আবরার আমাদের গুরু আমাদের সুপারম্যান। তিনি যেভাবে তরুণ প্রজন্মের কথা ভাবেন, প্রায় ৮০+ ভার্সিটির শিক্ষার্থীকে যেভাবে দক্ষতাপূর্ণ হতে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। যে শত ব্যস্ততার মাঝেও সব কিছু সামলিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, আমাদের সময় দিচ্ছেন, আমাদের সমস্যায় পাশে থাকেন, খোঁজ খবর রাখেন, এই মানুষ টা আসলেই সুপারম্যান। আমি গর্বিত আমি মুগ্ধ তার কাজে। শিক্ষক তো মোমবাতির আলোর মত যে নিজেকে পুড়িয়ে পুরো জগৎ টাকে আলোকিত করে। দোয়া করি তিনি নিজের আলোয় আলোকিত করুক জগৎসংসার। এই শিক্ষক দিবসে তাকে জানায় লক্ষ কটি সালাম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।’
‘বিশ্বাস, ভরসা, আস্থা সবকিছুই যে মানুষটির মাঝে পাওয়া যায় তিনি হলেন বেনজির আবরার। এটি শুধু একটি নাম নয় এটি হাজারো আবেগ অনুভূতির নাম। বেনজির ভাই যার মাঝে হাজারো ভালোবাসা সর্বত্রই বিরাজমান। উনার মাঝে সবসময় অন্যকে ভালো উপদেশ দেওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়। যখনি কেউ বিপদে পড়ে উনার কাছে যান উনি সবসময় সাহায্য করার সর্বত্র চেষ্টা করে চলেন। উনার লিডারশীপ আমাদের নতুন কিছু ভাবতে এবং শিখতে সর্বদাই সাহায্য করে। কর্পোরেট ধ্যান-ধারণায় মগ্ন থাকা মানুষ উনি এবং সেই অজানা বিষয়গুলো কিভাবে আমাদের মাঝে আরো বেশি নিয়ে আসা যায় তা নিয়ে উনি সবসময় কাজ করেন। প্রতিটি এক্সিলেন্স বাংলাদেশ এর সদস্যদের কাছে বেনজির ভাই একটি আস্থার নাম’ এমনটিই বলছিল আশফাক আসিফ।
মারিয়া খানম মাইশা বলেন, ‘এক্সিলেন্স বাংলাদেশ নিয়ে বলতে হলে প্রথমেই যার কথায় মাথা আসে তিনি আর কেউ না শুধুমাত্র একজন মানুষ বেনজির আবরার ভাই। ছোট বেলায় মা বাবা যেমন হাতেখড়ি শিখাতো, কিভাবে লিখতে হবে, কিভাবে লিখলে সুন্দর লেখা হবে। ঠিক একইভাবে বেনজির ভাই আমাদের ক্যারিয়ার নিয়ে হাতেখড়ির প্রশিক্ষণ দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। ছোট থেকে ছোট বড় থেকে বড় সকল ধরনের ছোট কথাবার্তা, কমিউনিকেশন স্কিল, ছোট ছোট টিপস, ক্যারিয়ার সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের উদ্যোগ, বিভিন্ন সামিটে অংশগ্রহণ করা, বাংলাদেশের বিভিন্ন বড় বড় লিডারদের সাথে পরিচয় করানো থেকে শুরু করে সকল কিছুর অবদানে তিনি রয়েছেন। অনেক অর্গানাইজেশন এর সাথেই হয়তোবা কাজ করা হয়েছে। এতটা আন্তরিক শুধু মাত্র এই মানুষটিকেই দেখা গেল। উনি শুধু উনার এক্সিলেন্স বাংলাদেশ নিয়েই নয় প্রতিটা মানুষের খোঁজ খবর রাখেন, তাদের পরিবারেরও খোঁজ নেন। তিনি সবসময় বলেন যে কোন সমস্যায় আমাকে বলবে সেটা পরিবারের সমস্যা হোক, ব্যক্তিগত কোন সমস্যা হোক, ভার্সিটির কোন প্রোগ্রাম হোক, ক্যারিয়ার নিয়ে কোন সমস্যা হোক ইত্যাদি। যখন এই মানুষটা বড় বড় কর্পোরেট লিডারদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এদের সাথে কমিউনিকেশন করবে, কন্টাক্ট করবে, এরা হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে টপ লিডার।তোমরা চাকরি খুঁজো, তোমরা চাকরি পাও না, তোমাদের উচিত এদের সাথে যোগাযোগ করা। কিভাবে একজন গুরু ঠিক এই কথাগুলো বলে তা শুধু তাকে দেখলেই বুঝা যায়। সে শুধু ক্যারিয়ার বিষয়ে কোন সমস্যা হচ্ছে কি না, পরিবারের কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা, ব্যক্তিগতভাবে কোন সমস্যা আমরা পড়েছি কিনা, সেই সম্পর্কেও সে অবগত থাকেন।এক্সিলেন্স বাংলাদেশের একজন সদস্য হিসেবে আমি বলব তার মত মানুষ পাওয়া দুষ্কর। তিনি যেমন সৎ তার আদর্শ, নীতি ও পরিষ্কার। তার পরিশ্রম, মেধা, সময় সবকিছুই উনি আমাদের জন্য উৎসর্গ করে দিচ্ছেন। দিনশেষে প্রাপ্তি একটাই আমাদের একজন বেনজীর আবরার ভাই ছিলেন ও আছেন, আমাদের একজন গুরু ছিলেন, আছেন, আগামীতেও থাকবেন।’
ঐশ্বরিয়া রায় বলেন, ‘প্রথমেই শিক্ষক দিবসে সকল শিক্ষকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা। কর্পোরেট জগতে কাজ শুরু করা হয় বেনজির ভাইয়ের হাত ধরে। বেনজির ভাই আমার কর্পোরেট গুরু। তিনি নিজের ছোট ভাইবোনের মতো করে আমাদের সব কিছু শিখিয়েছেন। তার কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি যা আমার ডেইলি লাইফে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সব কিছুর আগে তিনি শিখিয়েন ভালো মানুষ হতে। তিনি নিজেও সুন্দর মনের একজন মানুষ। আমার এই শিক্ষাগুরু কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ। গুরু জন্য অনেক শুভ কামনা ও ভালোবাসা।আমি আশাকরি বেনজির ভাইয়া সারাজীবন আমাদের এভাবেই সাপোর্ট করে যাবেন।’
কাজী রূপম শিক্ষক দিবস সম্পর্কে বলেন, ‘জীবনে সব শিক্ষকরা শুধু বই পুস্তক এ শিক্ষা দিয়ে থাকেন না। কিছু শিক্ষক থাকেন যারা বই-পুস্তকের বাহিরে গিয়ে জীবন নিয়ে শিক্ষা দিয়ে থাকেন এবং আমরা তাদেরকে বলে থাকি গুরু। যারা আমাদেরকে জীবনের পথ চলায় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা এবং দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। আমার শিক্ষা জীবনে পথ চলায় আমি যুক্ত হয়েছি বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যার মধ্যে আমি পেয়েছি এক্সিলেন্স বাংলাদেশের মতো একটি পরিবার। এই পরিবারে আমি পেয়েছি কিছু প্রতিভাবান মানুষ যারা আমাকে প্রতিনিয়তই তাদের কাজ এবং চিন্তা ভাবনা দিয়ে অনুপ্রাণিত করেন তাদেরই একজন হলেন বেনজির আবরার ভাই। বেনজির ভাইকে নিয়ে লেখা শুরু করলে হয়তো আমার কলমের কালি শেষ হলেও তাকে নিয়ে লিখা শেষ হবে না। এই মানুষটি একজন লেখক তিনি একজন দক্ষ ও কিংবদন্তি লিডার এবং তিনি সে মানুষ যে কিনা আগলে রেখেছেন এই পুরো পরিবারটিকে। বিশ্ব শিক্ষক দিবসে প্রিয় গুরুদের প্রতি রইলো প্রাণঢালা ভালোবাসা এবং তাদের সামনে আগামী পথ চলা যেন অনেক শুভ হয় সেই শুভকামনা।’