‘যত দিন রবে পদ্মা মেঘনা
গৌরী যমুনা বহমান,
তত দিন রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান।’
সত্যিই বঙ্গবন্ধুর কীর্তি কোনদিন মানুষ ভুলতে পারবে না। তিনি মানুষের হৃদয়ে সারাজীবন বেঁচে থাকবেন। প্রতিটা মানুষের চোখেই বঙ্গবন্ধু তার দেখা সেরা মানুষ। আজ ১৫-ই আগস্ট। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী। আজকের এই দিনে ‘আমার দেখা বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে এক্সিলেন্স বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেছে তরুণ প্রজন্ম। এই তরুণ প্রজন্মের দেখা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কেই আজ আমরা জানবো।
মোঃ সেলিম ইসলামের কাছে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটিই অনেকটা আবেগের শব্দ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতির প্রিয় বন্ধু। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় বাঙালি জাতির অধিকারের জন্যে কাজ করে গেছেন। যা বর্তমান জেনারেশনকেও অনেক উদ্ভুদ্ধ করে। রাজনীতি, সমাজসেবা, সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা ইত্যাদি শিখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তার প্রতিটি ভাষণ নতুন আশার স্বপ্ন দেখিয়ে যায় এখনও। একজন আদর্শ নেতা হওয়ার স্বপ্ন যাদের, বঙ্গবন্ধুই উদাহরণ হয়ে থাকবে তাদের।’
জাকিয়া সুলতানা জুঁই বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলেন, ‘তুমি ছিলে তুমি রবে শেখ মুজিবুর রহমান, তোমার কৃতি তোমার স্মৃতি চিরদিন বহমান। আগস্ট এলে শোকের দুচোখ ব্যথার জলে ভরে, তোমার গড়া বাংলাদেশ শোক পতাকায় জল ধরে। অমর অবিস্মরণীয় জাতীয় নেতা তুমি, বিশ্ব মাঝে উজ্জ্বল তুমি উজ্জ্বল এই জন্মভূমি।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতা হিসেবে প্রসিদ্ধ হয়েছিলেন। তার ভূমিকা ও অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশে “বঙ্গবন্ধু” নামে পরিচিত। তার রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা ১৯৪০ এর দশক থেকে শুরু হয়। তিনি প্রথম দিনটি শাসনের জন্য নেতৃত্ব করেন এবং সংগঠিত পূর্ণসূর্য আক্রমণের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সমাবেশ অনুষ্ঠান আয়োজন করেন, যা আমাদের শিক্ষাগত সংশ্লিষ্টতা তৈরি করে। তিনি একটি মানবিক উদ্দেশ্য অঙ্গীকার করেন, যা তার উদ্দেশ্য ছিল মানুষের জন্মই বিনাশ নেওয়া না, বরং একটি মানবিক জীবন উন্নত করা এমনটিই জানিয়েছেন লাওহে মাহফুজ মিরাজ।
রিদিতা সাহা বলেন, ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিার বিভিন্ন সংগ্রাম ও আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেই হয়েছিল। তিনি ঘুমন্ত বাঙালিকে জাগিয়ে তোলে ঐক্যবদ্ধ ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধেও মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তিনি যেমন বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা তেমনি বাঙালির জাতির জনক। ১৫ আগস্ট এক অভ্যুত্থানে আমরা হারিয়েছি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। এটা অভূতপূর্ব, অনাকাঙ্ক্ষিত ও বিয়োগান্ত।বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড সমগ্র পৃথিবীর মেহনতি এবং শোষিত মানুষকে করেছিল বাকরুদ্ধ।’