চারটি সেলস সিক্রেট যা আমি শিখেছি!

চারটি সেলস সিক্রেট যা আমি শিখেছি!


প্রথম দেখাতেই আপনি কাউকে বিয়ে করতে পারবেন না করবেন না ।যে মানুষ এর সাথে আপনার প্রথমবার দেখা হবে তার সাথে আপনি বড় কোন ডিসিশন নিতে পারবেন না ।ঠিক একই রকম ভাবে যদি প্রথম বার ই আপনি কারো কাছে পন্য বিক্রি করতে চান তাহলে সে আপনার পন্য কিনবেনা কারন প্রথম বারেই কিছু বিক্রি করতে চাইলে হয় মানুষ আপনাকে ফ্রড ভাববে তাই গ্রাহকের কাছে প্রথমেই পন্য বিক্রি না করে তাকে সাহায্য করুন ।


সারা দুনিয়ার যত বড় বড় কোম্পানি আছে তারা সকলেই সমস্যা সমাধান করতে পারে এমন পন্য তৈরি করে যাতে তারা খুব সহজেই মার্কেট ধরে ফেলতে পারে । আমরা যারা নতুন উদ্যোক্তা তারা হয়তবা বড় কোম্পানির মত সমস্যা সমাধান করতে পারে (PSP- Problem Solving Product) এমন পন্য হুট করে মার্কেটে এসে বানিয়ে ফেলতে পারব না তাই বলে আমাদের পন্যের সেল হবেনা এমন ও নয় । আমাদের পন্য গুলি যেন সেল হয় সেই জন্য আজকে আমি আপনাদের কে জানাবো ৪ টি সেলস সিক্রেট । আপনি যে ধরনের বিজনেস ই করেন না কেন যেমনঃ B2B, B2C, B2B2C, Digital Sales এই ৪টি সিক্রেট আপনার ১০০% কাজে লাগবে ।

১। কোন মানুষ এর এটা পছন্দ নয় যে কেউ এসে তার কাছে কোন পন্য বিক্রি করে চলে যাক।
এই কথাটা কে একদম ব্রেনের মধ্যে সুই সুতা দিয়ে গেথে নেন দরকার হয় । আমার কাছে কেউ একটা পন্য বিক্রি করে চলে যাক এটা আমি চাইব না কিন্ত আমাকে কেউ হেল্প করুক এটা আমরা সব সময় চাই।

প্রথম দেখাতেই আপনি কাউকে বিয়ে করতে পারবেন না করবেন না ।যে মানুষ এর সাথে আপনার প্রথমবার দেখা হবে তার সাথে আপনি বড় কোন ডিসিশন নিতে পারবেন না ।ঠিক একই রকম ভাবে যদি প্রথম বার ই আপনি কারো কাছে পন্য বিক্রি করতে চান তাহলে সে আপনার পন্য কিনবেনা কারন প্রথম বারেই কিছু বিক্রি করতে চাইলে হয় মানুষ আপনাকে ফ্রড ভাববে তাই গ্রাহকের কাছে প্রথমেই পন্য বিক্রি না করে তাকে সাহায্য করুন । হয় গ্রাহকের পুরাতন সমস্যা সমাধান করে দিন নয়ত সামনের লক্ষ অর্জন করে দিন । ওকে এবার মেনেই নিলাম যে আপনি ঠিক করে নিলেন যে জোর করে কিছু বিক্রি করবেন না এবং জোর করে কাউকে কিছু বুঝানোর চেষ্টা করবেন না বরং হেল্প করবেন । শেষের এই দুই লাইন মনে রাখেন আর এখন চলেন যাই দুই নং পয়েন্টে

২। সাহায্য করার আগে জানুন তার কি সাহায্য দরকার ।
আপনি যদি হুট করেই কিছু না জেনে কাউকে সাহায্য করতে যান তাহলে সে বিরক্ত হতে পারে তাই আগে ভাল করে জানুন তার কি সাহায্য দরকার ।
উদাহারন স্বরুপঃ একবার কিছু বাচ্চা ক্লাসে দেরি করে আসার পর শিক্ষক জিজ্ঞাস করল এই বাচ্চারা তোমরা ক্লাসে দেরি করে আসছ কেন ? ছাত্রঃ একজন বয়স্ক মহিলা কে রাস্তা পার করে দিয়ে আসছিলাম । শিক্ষকঃ তাহলে ৩০ মিনিট দেরি কিভাবে হয়ে গেল ?ছাত্রঃ আসলে ওই বয়স্ক মহিলা রাস্তা পার হতে চাচ্ছিলনা তাই জোর করে পার করে দিয়ে আসছি ।
সো এই বয়স্ক মহিলার মত জোর করে গ্রাহক কে রাস্তা পার করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন সবার আগে জানুন গ্রাহক কি চায় ।


* প্রত্যাশা * উপস্থাপন * অবস্থান নির্ণয় করার আগে জানুন গ্রাহকের আসলে প্রয়োজন টা ঠিক কি । তার এই নিড কে হেলপ এ কনভারট করুন তারপর পন্য বিক্রি করুন ।


৩। নিজের KDM (Key Decision Maker) কে খুজে বের করুন ।
আপনি যার কাছে পন্য বিক্রি করতেছেন তার কি আসলেই ডিসিশন নেওয়ার ক্ষমতা আছে ? নাকি নাই ? আমরা বেশির ভাগ সময় ই ভুল মানুষ এর সাথে কথা বলি যার কারনে আমাদের পন্য সেল হয়না । আপনি আসলে ধাক্কা দেয়ালে দিচ্ছেন দরজায় নয় তাই দেয়ালে না ধাক্কা দিয়ে দরজায় ধাক্কা দিন । পাচ ধরনের মানুষ আপনার পন্য কিনে থাকেন,১। যিনি পছন্দ করেন ২। যিনি প্রভাব বিস্তার করেন বা পন্যটি কেনার জন্য বলেন । ৩। যিনি ডিসিশন নেন ৪। যিনি কিনেন ৫। যিনি ব্যবহার করেন ।

ধরুন আপনার গ্রাহক হবে হচ্ছে একদম ছোট বাচ্চারা সো আপনি যদি বাচ্চাদের কে টার্গেট করে কাজ করেন তাহলে কোন লাভ হবেনা আপনাকে টার্গেট করতে হবে ডিসাইডার কে এবং বায়ার কে যারা পন্য টি কিনবেন ।


আপনি যে যে ধরনের পন্য বিক্রি করেন না কেন আপনার KDM কে খুজে বের করুন ।
কাস্টমারদের বাজেট সম্পর্কে পুরোপুরি ধারনা রাখার চেষ্টা করুন।

কিছু মানুষ এমন আছে যাদের না টাকা আছে , না টাকা খরচ করতে চায় । এদের কে রাখার দরকার নাই বের করে দিন আপনার কাস্টমার ডাটা থেকে ।

কিছু মানুষ এমন হয় যে পয়সা খরচ করতে পারে এবং করতে চায় ও তাদের কে আপনার কাস্টমার তালিকায় পাস করিয়ে দিন।
 কিছু মানুষ এমন যে টাকা আছে কিন্তু খরচ করতে চায়না তারমানে এখানে ব্যর্থতা আপনার তার নিড কে বুঝে সেই অনুযায়ী কাজ করুন ।
আবার কিছু মানুষ এমন হয় যে খরচ করতে চায় কিন্তু টাকা নেই তাদের জন্য আপনি ইন্সটলমেন্ট সুবিধা যোগ করতে পারেন ।
সেলস সব থেকে সহজ কাজ কিন্তু এর আগে আপনাকে বুঝতে হবে আসলে আপনার কি করতে হবে। 

সৌরভ শাহরিয়ার
সৌরভ শাহরিয়ার

Recent post