আমাদের চারপাশে খুঁজলে পাওয়া যাবে প্রখর বুদ্ধিমত্তা এবং অনন্য গুণাবলীসম্পন্ন মানুষ যাদেরকে প্রডিজি বলা হয়। তাদের মানসিক ক্ষমতা অকল্পনীয়, কাজ ও কর্মে প্রতিনিয়ত থাকে বিস্ময় যা তোমরা আমরা সাধারণ মানুষ এর ভাবনার বাইরে! কেমন হতো এমনি কোন প্রডিজি কিশোর বা কিশোরীর গল্প জানতে পারলে?
ছোটদের কল্পনার জগতে আলোড়ন তুলতে এবারের বই মেলায় উদীয়মান শিশু সাহিত্যিক ও শেভেনিং স্কলার শুভাশীষ রায় নিয়ে এসেছেন ‘চমকিয়া’ সিরিজ এর ‘চমকিয়া ও বিজ্ঞানী ভজঘট’ বইটি। বইটি একই সাথে যেমন শিশুকিশোরদের দিবে বৈজ্ঞানিক রহস্যময় সমস্যার সমাধানে চলা এক বিস্ময়বালিকার সঙ্গী হবার আনন্দ, আবার তাদের শেখাবে পৃথিবীকে টেকসই এবং নির্ভরযোগ্য বাসস্থান হিসেবে গড়ে তোলার উপায়।
চমকিয়ার আসল নাম আরিশা হক। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই তার সাধারণ বুদ্ধিমত্তা দিয়ে চমকে দিত আশেপাশের সবাকে। তার এই প্রডিজিসুলভ আচরণের কারণে তার দাদু তাকে নাম দেন ‘চমকিয়া’।
চমকিয়া কিশোর বয়সেই খুব দ্রুত হয়ে ওঠে তার এলাকা থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিজ্ঞ সকল মানুষের আস্থার মানুষ। পৃথিবীর সর্বোচ্চ আইকিউধারী হওয়ার সাথে সাথে তার সাহস এবং দৃঢ়তার উদাহরণ মানুষকে শিখিয়েছে কোনো সমস্যার সমাধান কেউ পারুক বা না পারুক, চমকিয়াই পারবে। তাই চমকিয়ার ডাক পড়ে কখনো এলাকার রহস্যময় ফুটবল এর সন্ধান করতে, আবার কখনো পৃথিবীকে উদ্ধার করতে ডাইনোসর থেকে অথবা তৃষ্ণার্ত জনপদে ছড়িয়ে পড়া অজানা ভাইরাস থেকে। কিন্তু ছোট্ট এই বিস্ময়কর চমকিয়া কিভাবে নিজের এলাকা থেকে ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর এমন জটিল সমস্যার সমাধান করতে? এই রহস্যের বাকিটুক জানতে চলে যেতে হবে এবারের বইমেলায় জ্ঞানকোষ প্রকাশনীর ২৯৯-৩০২ নং স্টলে। এছাড়াও অনলাইনের বুক এক্সপ্রেস এবং রকমারীতেও অর্ডার দিয়ে কেনা যাবে বইটিঃ https://www.rokomari.com/book/225697/chomokia-o-biggani-vhojoghoto
লেখক শুভাশীষ রায় জানান তার ইচ্ছা আমাদের আগামী প্রজন্মকে একটি টেকসই এবং নির্ভরযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখানো। এই লক্ষ্যেই তিনি চমকিয়ার মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের কে পরিচয় করিয়ে দিতে চান ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’র সাথে। ভবিষ্যতে শিশু-কিশোরদের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ বা সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল’ (এসডিজি) সম্পর্কে সচেতনতা ও চর্চা গড়ে তোলার জন্য এই সাইন্স ফিকশন সিরিজের আরো বই আসবে বলে তিনি আশা করেন। এই সিরিজের প্রথম বইটিতে এসডিজি ৬, ১৫, আর ১৬ এর সাথে সম্পৃক্ততা রেখে গল্পগুলো লিখেছেন তিনি।